‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এমন চেতনার বিশ্বাসে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ফোরাম গত ২৬ ডিসেম্বর সর্ব ধর্মের মানুষদের নিয়ে আন্তঃধর্মীয় বড়দিন উদযাপন করে। রস্কো আর নিক্স এলিমেন্টারি স্কুল অডিটোরিয়ামে সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। মেট্রো ওয়াশিংটন এলাকার দুই শতাধিক চার ধর্মাবলম্বীর মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট জনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাট্য ব্যক্তিত্ব ও নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান, অভিনেতা কল্যাণ কোরাইয়া, সুবাস আব্রাহাম ডি’কস্তা, সাংবাদিক সরকার কবিরুদ্দিন, ড নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক দস্তগীর জাহাঙ্গীর, ডা. প্যাট্রিসিয়া শুক্লা গমেজ, ড. পল ফেবিয়ান গোমেজ, তপন দত্ত, সাংবাদিক আরিফ খান, সংগঠক আবু রুমি, কচি খান, ছবি গমেজ, নীলু গমেজ, অতুল পিউরিফিকেশন, গ্রেগরি শীতল পেরেরা, লিলি রেগো, কবি মিজানুর রহমান খান, কুলসুম আরা খুকি, হাসনাত সানি, কাঁলাচান সরকার, প্রদীপ ঘোষ, প্রণব বড়ুয়াসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ।
বিপুল এলিট গনছালভেস ও কাঁকন রোজারিও’র উপস্থাপনায় শুরুতে চার ধর্মের পবিত্র ধর্মীগ্রন্থ থেকে পাঠ করেন ফাদার তিয়াস গমেজ, সিএসসি, প্রণব বড়ুয়া, তিলক কর ও সরকার কবিরুদ্দিন। বড়দিনের উপর সহভাগিতা করেন নাট্য ব্যক্তিত্ব ও নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান, অভিনেতা কল্যাণ কোরাইয়া। এর পর একে একে বড়দিনের অনুভূতি ব্যক্ত করেন- সুবাস আব্রাহাম ডি’কস্তা, ড. নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক দস্তগীর জাহাঙ্গীর, কাঁলাচান সরকার, ছবি গমেজ, লিলি রেগো, কচি খান, শ্যামল ডি’কস্তা, জনি জন গমেজ, অতুল পিউরিফিকেশন, ডা. প্যাট্রিসিয়া শুক্লা গমেজ, যোসেফ বাবলু গমেজ, চার্লস রেগো, তপন দত্ত, আবু রুমিসহ অনেকে।
সাংস্কৃতিক পর্বে উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশন করেন মেট্রো ওয়াশিংটনের জনপ্রিয় নাচের স্কুল সৃষ্টি নৃত্যাঙ্গনের একঝাঁক নৃত্যশিল্পী। কোরিওগ্রাফিতে সৃষ্টি নৃত্যাঙ্গনের পরিচালিকা নৃত্যশিল্পী রোজ মেরী মিতু রিবেরু। সহযোগিতায় খ্রিস্টিন রোজারিও। এ প্রজন্মের শিল্পী কথা সম্মাদার ও গল্প সমাদ্দার পরিবেশন করেন জনপ্রিয় কিছু গান।
বড়দিনের প্রধান আকর্ষণ কীর্তন। বিসিএ তরুণ দল, বাকার সদস্য এবং উপস্থিত অতিথিরা এক সাথে মেতে উঠেন বড়দিনের কীর্তনে। পর পর তিনটি কীর্তন শেষে শিশু-কিশোরদের উপস্থিতিতে বড়দিনের কেক কাটেন লায়লা হাসান। তিনঘন্টা ব্যাপী অনুষ্ঠানে খাবারের আয়োজনে ছিল বাহারি পিঠা,নানা ধরণের ভর্তা ও রাতের আহারে ছিল দেশীয় খাবার।
অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনআরবি কানেক্ট টিভির আরিফ, সময় টিভির দস্তগীর জাহাঙ্গীর, নিউজ বাংলা ও প্রথম আলো। ফটো ও ভিডিওগ্রাফিতে বৈশাখী ডালাস (অরূপ), সাউন্ড লিংকন ফার্নান্ডেজ।
অনুষ্ঠান সফল করতে অনেকেই অর্থ ও শ্রম দিয়ে সহায়তা করেন।অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করে আগামী বছর শুধু বড়দিন নয় সব ধর্মের অনুষ্ঠান সার্বজনীন ভাবে উদযাপনের মন্ত্র নিয়ে বিদায় নেয় অতিথিবর্গ।
সংবাদদাতা: সুবীর কাস্মীর পেরেরা