মট্স এর সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন

 

“প্রযুক্তি ও দক্ষতার সঠিক ব্যবহার করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে” : স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী, এমপি, শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ দুপুরে রাজধানীর মিরপুরের কারিতাস বাংলাদেশের ট্রাস্ট হিসেবে কারিগরি প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি শিক্ষার জন্য সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান মটসের নিজস্ব ক্যাম্পাসে আয়োজিত সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, মটস-এর প্রশিক্ষিত ৪৮ হাজার জনশক্তি দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন ধরণের কাজের মাধ্যমে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। এখন সময় এসেছে তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ তরুনেরা বিভিন্ন দেশের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে তাদের কারিগরি কৌশলের সঠিক প্রয়োগ করবে এবং বিশেষ অবদান রাখবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের মহান জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী, এমপি, উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. আতিউর রহমান, গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আর্চডায়োসিসের আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ, ওএমআই। কারিতাস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও মট্স বোর্ড অব ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন সেবাস্টিয়ান রোজারিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা আর্চডায়োসিসের অবসরপ্রাপ্ত আর্চবিশপ কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও সিএসসি, কারিতাস বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও খুলনা ডায়োসিসের বিশপ জেমস্ রমেন বৈরাগী, জুয়েল আরেং, এমপি, অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, এমপি, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো: আলী আকবর খান ও পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার, মটসের পরিচালক জেমস গোমেজ এছাড়াও প্রায় তিন হাজার প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী, প্রশিক্ষক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল শোভাযাত্রা ও ‌র‌্যালী। উদ্বোধক এবং সভাপতি জাতীয় ও মটস পতাকা উত্তোলন এবং গেস্ট অব অনার ও বিশেষ অতিথিগণ বেলুন, ফেস্টুন ও শান্তির প্রতীক কবুতর অবমুক্তকরনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। এ সময় উদ্বোধক ড. আতিউর রহমান অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ধোধন ঘোষণা করেন।

মূল অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল সর্বজনীন প্রার্থনা, জুবিলী থিম সং, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, অতিথিদের মঞ্চে আসন গ্রহণ, উত্তরীয় প্রদান, ভিডিও ডকুমেন্টারী প্রদর্শন এবং বক্তব্য। স্বাগত বক্তব্যে মট্স পরিচালক উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান এবং মট্স প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন।

বিশেষ অতিথিগণ তাদের ব  ক্তব্যে স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে মট্স’র অবদানের কথা স্মরণ করেন। দেশের কারিগরি শিক্ষায় মটস তার এই কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণ করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মটস যেভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বৈদেশিক মুদ্রা আনয়নে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করছে তারা তাদের বক্তব্যে এসব বিষয় তুলে ধরেন। এরপর প্রধান অতিথি, উদ্বোধক, গেস্ট অব অনার ও বিশেষ অতিথিদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয় এবং সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

দুপুরের আহারের পর এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ‌‌র‌্যাফেল ড্র এর মধ্য দিয়ে সারাদিনব্যাপি অনুষ্ঠানের সমাপ্ত হয়।

 –  সজল বালা