বড়দিনকে ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্রিস্টান ছাত্র-ছাত্রীদের মিলনোৎসব

বর্ণিল উৎসবমুখর আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ্রিস্টান ছাত্র সংগঠনের প্রাক- বড়দিন অনুষ্ঠান। ১ ডিসেম্বর ( শুক্রবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের টিভি কক্ষে এ অনুষ্ঠান সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য( শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট ড. মিহির লাল সাহা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নির্মল রোজারিও, সচিব,  খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ফাদার তপন ডি রোজারিও, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাডভাইজর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ্রিস্টান ছাত্র সংগঠন, প্রলয় চিছিম, এডিআইজি, সিআইডি, তানিমা মেগডালিনা কোরাইয়া, প্রভাষক, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, অতনু বর্মন, সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য অতিথিরা।  অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ্রিস্টান ছাত্র সংগঠনের সভাপতি সাগর চাম্বুগং এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অন্তর ত্রিপুরা। 

উপস্থিত প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন,অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ইঙ্গিত করে বলেন, মানুষের মানুষের ভালোবাসা উদযাপিত হোক, উদ্ভাসিত হোক। একজন আরেকজনকে ভালবাসুক। আমার কবিতায় লিখেছিলাম আমার রক্তের মধ্যে ধর্ম নাই আমার রক্তের মধ্যে মানুষ গড়া। যে এগুলো আন্তধর্ম স্বল্প ধর্মের যত ভালো ভালো দিক আছে, সে সমস্ত সমাজের পক্ষে, মানুষের পক্ষে, গরিবদের পক্ষে, অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে, এই যে বাণী এই যে কি মানে কি বলবো, ধর্মগ্রন্থের যে বাণী  আছে,এগুলো যদি আমরা পাঠ করি গ্রহণ করি, তাহলে কিন্তু আমরা অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি কখনোই হিংসাত্মক, আক্রমণাত্মক এরকম হতে পারি না।

আমন্ত্রিত অতিথিরা আসন গ্রহণের পর তাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর উপস্থিত অতিথিরা কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান এগিয়ে নিয়ে যান। এছাড়া অতিথিদের জন্য সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে লটারী ড্র অনুষ্ঠিত হয় এবং পুরস্কার প্রাপ্তদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। কীর্তন গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের ইতি টানা হয়।