এপিসকপাল যুব কমিশনের গৌরবময় ২৫ বছরের পূর্তি উপলক্ষে গত ১০-১১ নভেম্বর সিবিসিবি সেন্টারে উদযাপন করা হয় রজত জয়ন্তী উৎসব”। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি আর্চবিশপ বিজয় এনডিক্রুশ ওএমআই, ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশ, এপিসকপাল যুব কমিশনের সভাপতি আর্চবিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার সিএসসি, চট্রগ্রাম মহাধর্মপ্রদেশ, বিশপ জের্ভাস রোজারিও ডিডি, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ, বিশপ পল পনেন কুবি সিএসসি, ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশ, বিশপ সেবাষ্টিয়ান টুডু, দিনাজপুর ধর্মপ্রদেশ, বিশপ রমেন বৈরাগী , খুলনা ধর্মপ্রদেশ, বিশপ বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ, সিলেট ধর্মপ্রদেশ, বিশপ ইম্মানুয়েল কানন রোজারিও, বরিশাল ধর্র্মপ্রদেশ। এছাড়াও অনেক ফাদার, সিস্টার, ব্রাদার এবং গন্যমান্য অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিবৃন্দ এবং অংশগ্রহণকারী সকলকে বাজনা বাজিয়ে মঞ্চের সামনে নিয়ে আসা হয়। এরপর জয়ন্তী উদযাপনের ভূমিকা পাঠ করেন ফাদার বিকাশ রিবেরু সিএসসি, জাতীয় যুব সমন্বয়কারী। এরপর প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ জাতীয় পতাকা, যুব কমিশনের পতাকা, জুবিলী পতাকা উত্তোলন করেন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পর শান্তির প্রতীক ও জুবিলী উৎসবের কবুতর অবমুক্তকরণ করেন প্রধান ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ। জুবিলীর লোগো উন্মোচন করেন আর্চবিশপ বিজয় এনডিক্রুশ ওএমআই এবং আর্চবিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার সিএসসি। এর পরপরই লোগোর ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়। আনন্দের প্রকাশ রূপে বেলুন ও জুবিলীর লোগো উত্তোলন করা হয়। এরপর একটি যুবর্যালী বের করা হয় যা আসাদ গেট টাউন হল মোড় ঘুরে সিবিসিবিতে এসে শেষ হয়।
১ম দিনের অনুষ্ঠানের ২য় অংশে সকলে হলরুমে প্রবেশ করলে অতিথিদের আসন গ্রহণ, উদ্বোধন প্রার্থনা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বল এর মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। স্বাগত ও শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন পরম শ্রদ্ধেয় আর্চবিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার সিএসসি তিনি উপস্থিত সকলকে জুবিলী উৎসবের শুভেচ্ছা জানান এবং জুবিলী উৎসব পালনের তাৎপর্য তুলে ধরেন। এরপর ডকুমেন্টারির মাধ্যমে বিগত বছরগুলোর যুব কমিশনের ইতিহাস ও কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। এরপর প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণকে উত্তরীয় এবং ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। এরপরেই জুবিলীর ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন ও কেক কাটেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ। রাতের আহার গ্রহণের পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং লটারি ড্র করা হয় এতে সকল ধর্মপ্রদেশের যুবারা অংশগ্রহন করে। পরের দিন সকালে নাস্তার পরে যুব সঙ্গীত ও দলীয় নাচ এবং প্রয়াত সেবা কর্মীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপরেই যুব সেবা দলের ও যুব কমিশনের সেবা কর্মীদের অনুভূতি, উত্তরীয় ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। বর্তমান যুব সমন্বয়কারী ও সেক্রেটারিদের ও নির্দিষ্ট যুবক-যুবতীদের অনুভূতি উন্মুক্ত আলোচনা কর্মপরিকল্পনা করা হয়। এরপর জুবিলীর মহাখ্রিস্টযাগ শুরু হয়। এতে পৌরাহিত্য করেন আর্চবিশপ বিজয় এন ডিক্রুশ ওএমআই। সহার্পিত খ্রিস্টযাগে তাকে সহায়তা করেন আর্চবিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার সিএসসি, বিশপ ইম্মানুয়েল কানন রোজারিও এবং প্রায় ৩০ জন যাজক। তিনি তার সহভাগিতায় উল্লেখ করেন, জুবিলী পালন করার তাৎপর্য এবং উদ্দেশ্য। তিনি তার জীবনের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন যা তার বিশ্বাস বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। যুবাদের উদ্দেশ্যে পোপ মহোদয়ের বানী উল্লেখ করে বলেন, তোমরা শুধু মণ্ডলীর ভবিষ্যত নও তোমরা বর্তমান।” এরপর ফাদার বিকাশ রিবেরূ সিএসসি, জুবিলী উৎসবকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য এবং সার্বিক সহায়তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। দুপুরের আহার গ্রহনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। জুবিলী অনুষ্ঠানে অতিথি এবং অংশগ্রহণকারী মিলে মোট প্রায় ২৫০ জন উপস্থিত ছিলেন । -সজল বালা