এশিয়ার বিশপ সম্মিলনীগুলোর ফেডারেশন(এফএবিসি) এর সামাজিক যোগাযোগ দপ্তর, থাইল্যাণ্ডের ব্যাংককে গত ৪-১০ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিতব্য পালকীয় সাহিত্য অনুবাদ কর্মশালা ১০ জুন বিকালে সফলভাবে সমাপ্ত করেছে।
কর্মশালাটি এশিয়ার প্রধান ১৬টি ভাষার ৪৪জন অনুবাদককে পালকীয় সাহিত্য অনুবাদে তাদের দক্ষতা বাড়াতে ও এ অঞ্চলের বিচিত্র ভাষাগত দৃশ্যপটের মধ্যে আরো ভালো যোগাযোগ রচনা করতে একত্রিত করেছিল।
এফএবিসি’র সামাজিক যোগাযোগ দপ্তরের চেয়ারম্যান ও মালয়েশিয়ার প্যানাং এর বিশপ, কার্ডিনাল সেবাস্তিয়ান ফ্রান্সিস তার অনুপ্রেরণাদায়ী উদ্বোধনী বাণীতে অনুবাদকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, একজন অনুবাদক লেখক ও পাঠকের মধ্যে একজন সংযোগকারী ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। পালকীয় ধারার সাহিত্যে অনুবাদক মূল বা উৎস ভাষার প্রতি যেমনি বিশ্বস্থ থাকবেন তেমনি যে মানুষদের জন্য তা অনুবাদিত হচ্ছে তাদের ভাষার গতিশীলতা ও পরিবর্তনের প্রতিও উন্মুক্ত থাকবেন। কর্মশালাতে অংশগ্রহণকারী সকলকে তাদের অনুবাদ কাজের মধ্যদিয়ে ‘মিশনারী শিষ্য’ হয়ে ওঠার আহ্বান রাখেন কার্ডিনাল মহোদয়।
ভাষাজ্ঞানে ও অনুবাদ কাজে দক্ষ সিলের (SIL) দক্ষ দল কর্মশালাটি পরিচালনা করেন। অনুবাদের নীতি, পদ্ধতি, সরঞ্জাম এবং অংশগ্রহণকারীদের ব্যবহারিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের কৌশল নিয়ে সাজানো হয় সেশনগুলি।
ভারতের ইয়েজু করুণানিধি কর্মশালায় অংশ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘অনুবাদ কর্মশালাটি আমাকে বিশ্বের ভাষাগুলির প্রতি এবং ভাষার বিশ্বের প্রতি উন্মুক্ত করেছে’। একইভাবে ইন্দোনেশিয়ার অংশগ্রহণকারী কারোলিন মারীয়া দামায়ান্তি নুগ্রোহো নেটওয়ার্কিং এর সুযোগগুলোর প্রশংসা করে বলেন ‘অনুবাদ কাজে জড়িত বিভিন্ন মানুষের সাথে আমি এখন সম্পৃক্ত হতে পারবো। কর্মশালাটি আমাকে নেটওয়ার্কিং ও সহযোগিতায় সক্ষম করে তুলেছে’। তাইওয়ানের মি. চুন চিয়েন উ তার ব্যক্তিগত উন্নতির কথা সহভাগিতা করে বলেন, অনুবাদ কাজে আমি আমার আত্মবিশ্বাস দৃঢ় করতে পেরেছি’। শ্রীলঙ্কার অংশগ্রহণকারী অভিজ্ঞ অনুবাদক নাওয়ালাজ লোভি গডফ্রে কোরে মন্তব্য করে বলেন, ‘এই কর্মশালাটি আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, অনুবাদের এই প্রচেষ্টায় আমি একা নই’।
এফএবিসি’র সামাজিক যোগাযোগ দপ্তরের নির্বাহী সচিব ফাদার জর্জ প্লাথোটাম এসডিবি’র নির্দেশনা ও পরিচালনায় কর্মশালাটি যথার্থভাবে সম্পন্ন হয়। ‘হ্যাণ্ডবুক ফর ট্রান্সলেটর’ শিরোনামে অনুবাদকদের জন্য একটি সহায়িকা ও নির্দেশনা পুস্তিকা তৈরি করা হয়েছিল এবং যা কর্মশালায় ব্যবহার করা হয়েছিল।
এই কর্মশালাটি এশিয়া জুড়ে পালকীয় সাহিত্যের গুনগতমান ও পরিসর বৃদ্ধির একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে চিহিৃত হবে, যা মণ্ডলীর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে আরো কার্যকর যোগাযোগ ও বোঝাপড়ায় অবদান রাখবে।
তথ্যসূত্র: Federation of Asian Bishops’ Conferences (FABC) Office of Social Communication
অনুলিখন: ফাদার বুলবুল আগষ্টিন রিবেরু