বারোমারী ধর্মপল্লীতে বিশপ পল পনেন কুবি সিএসসি’র পালকীয় সফর

ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের বিশপ পল পলেন কুবি সিএসসি  গত ১৭ ও ১৮ মে ২০২৫ তারিখে বারোমারী সাধু লিও’র ধর্মপল্লীতে পালকীয় সফর সম্পন্ন করেন।

১৭ মে, শনিবার বিকেল পাঁচটায় বারোমারী ধর্মপল্লীতে পৌঁছলে বিশপ মহোদয়কে মান্দি ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয়। এ সময় ধর্মপল্লীর খ্রিস্টভক্তগণ, ক্যাটেখিস্ট, প্যারিশ কাউন্সিল সদস্য ও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হয় এক মতবিনিময় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, যেখানে খ্রিস্টভক্তগণ তাঁদের পারিবারিক, আর্থ-সামাজিক ও আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা বিশপের সঙ্গে সহভাগিতা করেন।

১৮ মে, রবিবার সকালে বিশপ পল পনেন কুবি বারোমারী সাধু লিও’র গির্জায় মহাখ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন। সেখানে তিনি তাঁর বক্তব্যে মান্দি জনগণের অতীত ও বর্তমান উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এক সময় এই জনগোষ্ঠী শিক্ষা ও সরকারি চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল। আজ যারা প্রতিষ্ঠিত, তাঁদের পেছনে বহু যাজক, সিস্টার, ব্রতধারী ও ক্যাটেখিস্টদের নিঃস্বার্থ সেবা ও ত্যাগ জড়িয়ে আছে। তাঁরা যেমন নিরলসভাবে কাজ করেছেন, তেমনি ঈশ্বরও আমাদের জীবনে সদা কর্মরত থাকেন।

খ্রিস্টযাগ শেষে বিশপ জাঙ্গালীয়াকান্দা গ্রামে যান। সাম্প্রতিক বন্যায় সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য নির্মিত গৃহসমূহ পরিদর্শন ও আশীর্বাদ করেন। এরপর তিনি সাধু আগস্টিন উপকেন্দ্রে একটি নতুন গির্জা ভবনের শুভ উদ্বোধন করেন এবং খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন। পরে গ্রামবাসীরা তাঁকে আন্তরিক সংবর্ধনা জানান।

দিনের শেষভাগে বিশপ খলিশকুড়া গ্রাম পরিদর্শনে যান। কীর্তন সহযোগে গ্রামবাসীরা তাঁকে বরণ করে নেন। এরপর বিশপ নিজেই পায়ে হেঁটে প্রতিটি পরিবারে পৌঁছে যান এবং বিশেষ করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের খোঁজ-খবর নেন এবং উৎসাহ ও আশার বাণী প্রদান করার মধ্যদিয়ে তার পালকীয় সফরের সমাপ্তি ঘটান।

সংবাদদাতা: ফাদার নোবেল জেভিয়ার পাথাং

Leave a Reply