ব্রাদার উজ্জ্বল প্লাসিড পেরেরা সিএসসি : কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও সিএসসি, ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের আর্চবিশপ-এর গুরুদায়িত্ব থেকে একইসাথে বাংলাদেশ কাথলিক বিশপ সম্মীলনী’র প্রেসিডেন্ট-এর দায়িত্ব থেকে অবসর গ্রহণের পর গত ১৫ অক্টোবর ২০২০ খ্রিস্টাব্দে সকালে রমনা আর্চবিশপ ভবন থেকে নতুন আবাসস্থল বাংলাদেশ কাথলিক বিশপ সম্মিলনী কেন্দ্র অর্থাৎ সিবিসিবি সেন্টারে চলে আসেন। ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের সহকারি বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ এর সাথে কয়েকজন ফাদার ও সিস্টার কার্ডিনাল মহোদয়কে পৌঁছে দিতে আসেন এবং সিবিসিবি সেন্টারের বর্তমান পরিচালক ফাদার জ্যোতি ফ্রান্সিস কস্তা’সহ বিভিন্ন এপিসকপাল কমিশনের সদস্যগণ ও সেন্টারের কর্মীবৃন্দ তাকে নৃত্য, গান, বরণমালার মধ্যদিয়ে নতুন আবাসস্থলে স্বাগতম জানান।
স্বাগত অনুষ্ঠানে ফাদার জ্যোতি ফ্রান্সিস কস্তা বলেন, ‘কার্ডিনাল মহোদয়কে এই সিবিসিবি সেন্টারে আমাদের মাঝে পেয়ে আমরা সত্যি খুবই আনন্দিত। আমরা যারা এই সিবিসিবি সেন্টারে থাকি বা কাজ করি, আমরা সবাই মিলে কার্ডিনালকে অনেক যত্ন করতে ও সার্বিকভাবে সহায়তা করতে চেষ্টা করবো।’
বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ বলেন, ‘বিগত দিনগুলোতে কার্ডিনাল মহোদয় বাংলাদেশের ঢাকার মহাধর্মপাল হিসেবে কেবলমাত্র ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশই নয়, গোটা বাংলাদেশ মণ্ডলী দৃঢ়তার সাথে সুদক্ষভাবে পরিচালনা দিয়ে গেছেন, আমাদের মাথার উপর বড় বৃক্ষের মতো ছায়া দিয়ে গেছেন। তার নেতৃত্ব, ভালবাসা ও যত্ন আমরা এখন মিস্ করবো।’
কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও সিএসসি বলেন, ‘ঈশ্বরের পরিকল্পনা অনুযায়ী গুরুদায়িত্ব পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভক্তজনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। নতুন-নতুন দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি এবং মানুষও সাদরে বরণ করেছেন। ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের মহাধর্মপালের দায়িত্ব থেকে অবসর নেয়ার পর স্বেচ্ছায় আনন্দিত মনে আমি এই সিবিসিবি সেন্টারে এসেছি। ঈশ্বর আমার জন্য কি পরিকল্পনা করে রেখেছেন তা এখানে থেকে অনুধাবন করবো, একই সাথে এখানে থেকে কিছু পড়াশুনা, লেখালেখি ও গবেষণার কাজ চালিয়ে যাবো।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই সেন্টারে আমাকে আন্তরিকভাবে বরণ করে নেয়ার জন্য ও সমস্ত আয়োজনের জন্য সবাইকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।’
ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশ থেকে সদ্য অবসর প্রাপ্ত কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও সিএসসি, আধ্যাত্মিকতায় বলীয়ান একজন সুদক্ষ ধর্মপাল, প্রশাসক, দূরদর্শী নেতা, চিন্তাশীল লেখক, অনুবাদক এবং জ্ঞানের সাধক হিসেবে মানব সেবায় পরিপূর্ণভাবে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি গোটা বাংলাদেশ মণ্ডলীর জন্য বিশেষ আশীর্বাদ ও অমূল্য সম্পদস্বরূপ। তার গভীর জ্ঞান, প্রজ্ঞা, প্রগতিশীল চিন্তা, পথনির্দেশনা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ কাথলিক মণ্ডলী উন্নতির পথে অনেক দূর এগিয়েছে। তার অবসর জীবন সুখের ও আনন্দময় হোক এটাই আমাদের সকলের একান্ত প্রার্থনা। আমরা তার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।