Categories সংবাদ

ন্যায় ও শান্তি কমিশনের উদ্যোগে সুরক্ষা বিষয়ক কর্মশালা আয়োজন

কমিশন ডেস্ক: গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিস্টবর্ষে ‘বাংলাদেশ কাথলিক বিশপ সম্মিলনী’র ন্যায় ও শান্তি কমিশন এর উদ্যোগে ‘ঈশ্বরের সন্তানদের সুরক্ষা বিষয়ক কর্মশালা’ সিবিসিবি সেন্টারে আয়োজন করা হয়। যার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “Our Common Mission of Safeguarding God’s Children” কর্মশালায় আর্চবিশপ মহোদয়গণ, বিশপ, যাজক, ধর্মসংঘের প্রধান এবং শিশু সুরক্ষা নীতিমালা বাস্তবায়ন কাজে জড়িত ফাদার, ব্রাদার ও সিস্টারগণসহ মোট ৬৫জন অংশগ্রহণ করেন।কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল-শিশু অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক মাণ্ডলিক ভাবনা ও মাণ্ডলিক আইন সংহিতা, দলিল ও নির্দেশনা অনুধাবন, শিশু অপরাধের তথ্য সংগ্রহ, প্রাথমিক তদন্ত, নোটিশ, রাষ্ট্রীয় আইনগত পদক্ষেপে সাড়াদান, সুরক্ষা নীতিমালা বাস্তবায়নে ভবিষৎ কর্মকৌশল ও কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ এবং স্থানীয় মণ্ডলীতে সেবাদানকারীগণ যেন শিশুদের জন্য ‘নিরাপদ অভিভাবক’ ও ‘নিরাপদ আশ্রয়দাতা’ হয়ে উঠতে পারি এসব বিষয়ে একত্রে চিন্তাভাবনা করা। শুরুতেই ‘ন্যায় ও শান্তি বিষয়ক বিশপীয় কমিশন’ এর সেক্রেটারি ফাদার লিটন এইচ গমেজ সিএসসি প্রার্থনা পরিচালনা করেন এবং শিশু সুরক্ষা বিষয়ে মাণ্ডলিক উদ্যোগ ও অগ্রগতি অবহিত করেন। অতঃপর কমিশনের সভাপতি বিশপ জের্ভাস রোজারিও স্বাগত বক্তব্যে কর্মশালার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং মাণ্ডলিক ভাবনা আলোকপাত করেন। কর্মশালায় ড. ফাদার মিন্টু লরেন্স পালমা ‘শিশু সুরক্ষায় মণ্ডলীর বিধিবদ্ধ আইন, দলিল ও নির্দেশনা’, ব্রাদার নির্মল গমেজ সিএসসি ‘শিশু নির্যাতন ও অপরাধ তদন্তকালীন রাষ্ট্রীয় আইন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে সাড়াদান’, আর্চবিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার সিএসসি ‘মনস্তাত্ত্বিক ও আধ্যাত্মিক অনুপ্রেরণা এবং বিশ্বাসের আলোকে শিশু সুরক্ষা’ এবং আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুশ ওএমআই “Our Common Mission of Safeguarding God’s Children” বিষয়ক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। উন্মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন ডায়োসিস, ধর্মসংঘ ও প্রতিষ্ঠানে শিশু সুরক্ষা নীতিমালা অনুসরণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সকলে একমত যে, আমরা চাই সকল প্রকার নিপীড়ন-নির্যাতন বন্ধ হউক ও দোষী ব্যক্তিদের বিচার হউক। সুতরাং কর্মশালায় গৃহিত পদক্ষেপসমূহ হল-শিশু সুরক্ষা পুর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন ও অনুসরণ করা, নীতিমালা অনুযায়ী বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি গঠন, সংগঠিত শিশু অপধার তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ডায়োসিস ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে অভিভাবকদের মাঝে শিশু সুরক্ষা সম্পর্কিত সচেতনতা প্রদান করা। অংশগ্রহণকারীদের উন্মুক্ত মতামতের ভিত্তিতে একটি “সুরক্ষা অঙ্গীকারনামা” প্রস্তুত ও গ্রহণ করা হয় যা মাণ্ডলিক শিশু অধিকার সুরক্ষা পদক্ষেপসমূহ গতিশীল করবে।