‘প্রার্থনার প্রেরণা ফাতেমার রাণী মা মারীয়া’: ‘যে পরিবার একত্রে প্রার্থনা করে, সে পরিবার একত্রে বাস করে’ – এ বিষয়টিকে প্রতিপাদ্য করে গত ৩১ অক্টোবর থেকে ১লা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত নালিতাবাড়ির বারমারী সাধু লিও’র ধর্মপল্লীতে মা মারীয়ার বার্ষিক তীর্থোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথমদিন (৩১ অক্টোবর) দুপুর ২টায় পাপস্বীকার সংস্কার এবং বিকেল ৪টায় খ্রিস্টযাগের মধ্যদিয়ে তীর্থের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। উক্ত খ্রিস্টযাগে ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের সহকারি বিশপ সুব্রত বনিফাস গমেজ পৌরহিত্য করেন। সাথে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের বিশপ পনেন পল কুবি সিএসসি ও ফাদার বাইওলেন চাম্বুগংসহ বেশ কয়েকজন যাজক ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক খ্রিস্টভক্তগণ। তীর্থের অন্যতম আকর্ষণ আলোক শোভাযাত্রা ও জপমালা প্রার্থনা শুরু হয় রাত ৮টায়। এরপর ফাদার ভেরিওয়েল চিসিম-এর পরিচালনায় পবিত্র সাক্রামেন্তের আরাধনা, নিরাময় এবং সাক্ষ্যদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয় দিন, সকাল ৮টায় জীবন্ত ক্রুশের পথ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর, সকাল ১০টায় মহাখ্রিস্টযাগে পৌরহিত্য করেন ময়মনসিংহের বিশপ পল পনেন কুবি সিএসসি এবং বাণী সহভাগিতা করেন বিশপ সুব্রত বনিফাস গমেজ। তিনি সাধ্বী জাসিন্তা, লুসিয়া ও সাধু ফ্রান্সিসকোর মা মারীয়ার প্রতি ভক্তি ও বিশ্বাসের ইতিহাস তুলে ধরেন।
খ্রিস্টযাগ শেষে উক্ত ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার তরুণ বনোয়ারী তীর্থযাত্রীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং দু’দিনব্যাপী তীর্থোৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
তীর্থোৎসবে আনুমানিক ৪৫ জন পুরোহিত, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্রতধারি-ব্রতধারিনীগণ এবং প্রায় ৪০,০০০ খ্রিস্টভক্ত উপস্থিত ছিলেন। এবার ২৬তম তীর্থোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে প্রায় ৪২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বারমারী সাধু লিওর এ ধর্মপল্লীতে ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে মা মারীয়ার বার্ষিক তীর্থ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রতি বছর অক্টোবরের শেষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব। শুধু শেরপুর নয়, দেশ বিদেশের হাজার হাজার পুণ্যার্থী অংশ নেন এই তীর্থযাত্রায়।
সংবাদদাতা: ফাদার নোবেল জেভিয়ার পাথাং